Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সুবলং ইউনিয়নের ইতিহাস

 

সূচনাঃ সূজলা সূফলা শ্যাম শ্যামলা চির সবুজে আবৃত অপূর্ব মনোরম পরিবেশে পরিবেষ্টিত এই পার্বত্য এলাকা। আর সেই পার্বত্য এলাকার পাহাড় শান্ত বুকে প্রবাহিত পর্বত এলাকার গৌরব সেই লুসাই পাহাড় আগমন কৃত “মা” কর্নফুলী নদীর তীরে অবস্থিত রাংগামাটি জেলার বরকল উপজেলাধীন ১নং সুবলং ইউনিয়ন পরিষদ। এ সুবলং ইউনিয়ান বাবু দয়াল চন্দ্র চাকমা। তিনি এখনো জীবিত আছেন। প্রকৃতিগত ভাবে সুবলং পরিষদটি রাংগামাটি জেলার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিষদ। রাংগামাটি জেলার ৫টা থানার সংযোগ স্থল এবং পর্যটন এলাকা বলা যায়। এখানে সুবলং ঝর্নার দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে খুব আকর্ষনীয়।

 

সম্প্রদায়ঃ সুবলং পরিষদে বিভিন্ন সম্প্রদায় বসবাস। যেমন- চাকমা, মুসলিম, মারমা, ত্রিপুরা, হিন্দু ও বড়ুয়া। এখানে বহু সম্প্রদায়ের আবাস স্থলে জলেও নেই। হিংসা নেই বিদ্বেষ। সকল সম্প্রদায়ের সহবস্থারে বসবাস।

মৌজাঃ সুবলং পরিষদে সর্বমোট ৫টা মৌজা নিয়ে গঠিত। ধামাই৫টা মৌজা নিয়ে গঠিত। ধামাইড়া মৌজা, ৪নং বরুনাছড়িমৌজা, ১৪০নং বাঘাছোলা মৌজা, ১৩২নং মিতিংগাছড়ি মৌজা, ১৩৪নং আন্দার মানিক মৌজা।

 

হেডম্যানঃ ধামাইছড়া রবিন্দ্র লাল হেডম্যান, ৪নং বরুনাছড়ি যুগনী বালা হেডম্যান, বাঘাছোলা সুশীল রঞ্জন হেডম্যান, মিতিংগা ছড়ি মিলন শংকর হেডম্যান, ১৩৪নং আন্দার মানিক প্রভাত রঞ্জন চাকমা।

সীমানাঃ উত্তরে লংগদু থানা-দক্ষিণে জুড়াছড়ি থানা-পশ্চিমে রাংগামাটি সদর থানা

লোক সংখ্যা-

পরিবার-

 

যাতায়াত ব্যবস্থাঃ সুবলং পরিষদটা কর্নফুলীর তীরে হওয়াতে অধিকাংশ জায়গা পানি পরিবেষ্টিত। যার কারনে এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা নৌকা এবং ইঞ্জিনচালিত বোট নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এখানে পাকা রাস্তা নাই। তবে বর্তমানে এডিবির অর্থায়নে সুবলং হতে সুবলং হতে বনযোগীছড়া পর্যন্ত ব্রিক মিলিং এর রাস্তার কাজ চলছে।

 

অর্থনৈতিক অবস্থাঃ যাতায়াত ব্যবস্থার সুযোগ না থাকাতে এখানে অর্থনৈতিক অবস্থাও তেমন ভাল নয়। এখানে উৎপাদিত পূন্য দ্রব্য ঠিকমত বাজার জাত করা খুবই কঠিন। যার ফলে এলাকার লোকজন অর্থনৈতিক সংকটে পরে থাকে। এখানে মাছ, গাছ, বাঁশই অর্থনৈতিক মূল কাঠামো। বিশেষ করে কর্নফুলির পানিতে মাছ হচ্ছে এলাকার লোকজনের জীবিকার মূল বিষয়বস্তু। শতকরা ৮০/৮৫ লোক মৎস শিকারে লিপ্ত।